Saturday, January 24, 2015

আর নয় ইভটিজিং



হাল সময়ের নারীদের জন্য সবচেয়ে বিব্রতকর ও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ইভটিজিং। এটা বর্তমানে একটা বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সভ্যতাবিবর্জিত ইভটিজিংয়ের কারণে অনেক নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং কেউ কেউ এ বিব্রতকর পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে। অনেক সম্ভাবনাময় জীবনের অপচয় হচ্ছে এ ইভটিজিং দ্বারা। একশ্রেণীর অভদ্র ও বিকৃত কুরুচিসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা হরহামেশাই ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে নারী সমাজ। ইভটিজিং তাদের কাছে আনন্দের বিষয়। কিন্তু তারা জানে না বা বুঝে না এ ইভটিজিংয়ের শিকার নারীরা কীভাবে মন-মানসিকতার দিক দিয়ে ভেঙে পড়ে। অনেক সময় এতটাই বিব্রতকর অবস্থায় তাদের পড়তে হয় যেটা তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের পরিবারসহ কোথাও যাওয়ার সময় এ ইভটিজিংয়ের কবলে পড়ে। তখন তার পরিবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। এ ইভটিজিং বিভিন্নভাবে সংঘটিত হতে পারে। যেমন মুখের ভাষা ব্যবহার করে, অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে এমনকি কোনো কিছু ছুড়ে মেরে ইত্যাদি।
ইভটিজিংকারী ব্যক্তিকে এ সভ্যতাবিবর্জিত পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাদের ঘৃণা বা সমালোচনা না করে বোঝাতে হবে যে, এটা কোনো গৌরবের বিষয় নয়। বরং এটা করে তারা নিজেদেরই মূল্যবান সময় অপচয় করছে। এর শিকার একদিন তার পরিবার বা নিকট আত্মীয় হতে পারে।
নারীদের আমাদের সহযোগী ভাবতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্র, কর্মক্ষেত্রসহ সব পর্যায়েই নারীদের সঙ্গে ভদ্র ও দায়িত্বসম্পন্ন আচরণ করার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।

জনসচেতনতায়
সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ক প্রকল্প- সচেতন। 
সৌজন্যে
ঘাসফুল সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন। 

নিয়ম মেনে হাত ধোয়া কি হয়?


Procedure of healthy hand washing- Brought to you by Soceton.